কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমর ও ফুলকুমরসহ ১৬ টি নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। তবে কুড়িগ্রামে বন্যায় ৯ হাজার ৭শ ৮৯ হেক্টর জমির ফসলি আবাদ পানিতে নিচে তলিয়ে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে কুড়িগ্রামর বিভিন্ন এলাকার কৃষকেরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা দিয়ে বয়ে গেছে ১৬টি নদ-নদী গত
কয়েকদিনের অবিরাম বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বৃদ্ধি
পেয়ে নদ-নদীর অববাহিকার বিভিন্ন ক্ষেত যেমন পাট, পটল ও সবজিসহ বিভিন্ন ফসলি আবাদ পানিতে তলিয়ে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি
হয়েছে। বিশেষ করে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর অববাহিকার কৃষকেরা।
কুড়িগ্রাম সদর ঘোগাদহ
ইউনিয়নের কাবলের ভিটা গ্রামের জয়নাল বলেন, ৩ বিঘা জমির জন্য আমন
বীজতলা করিছি বন্যায় আমার সম্পন্ন বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। পানি শুকিয়ে গেলে আবারও বীজতলা করতে হবে ভাই।
কুড়িগ্রাম সদর যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোঃ আইয়ুব আলী সরকার বলেন,
আমার ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র
ও দুধকুমর নদের অববাহিকায় কৃষকরা বিভিন্ন ফসল আবাদ করেছেন, আগাম বন্যায়
তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এখন কৃষকরা পুষিয়ে উঠতে পারবে না। কৃষকদের ঘুরে দাড়ানোর জন্য সরকারকে সহযোগিতা করার অনুরোধ করছি।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ
অফিস সুত্রে জানা গেছে, এবারের আগাম বন্যায় কুড়িগ্রাম জেলায়
৯ হাজার ৭শ ৮৯ হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক
ডা, মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এখনেই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা
যাচ্ছে না। তবে অনেক ফসল ব্যাক করার সম্ভাবনা রয়েছে। কৃষকদের আমনের
চারা যাদে সংকট দেখা না দেয় আমরা কৃষি বিভাগ থেকে সহযোগিতা করবো।