বাগেরহাটের সিমান্তবর্তী মোড়েলগঞ্জ উপজেলার চুচরামারী গ্রামে ১০/১২জন দুরবৃত্তর দল রবিবার সকালে প্রতিবেশী শাহাজান সিকদার,জলিল সিকদারের বাড়ীর পাশ্বে তার মৎস্য ঘেরের বাঁধ কেটে দিয়ে প্রায় ৩লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন করেছে।এব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পক্ষ থেকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মোড়েলগজ্ঞ থানাকে অবগত করেছেন।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানাগেছে
,মোড়েলগজ্ঞ উপজেলার ১নং তেলিগাতী ইউনিয়নের চুচরামারী গ্রামের শাহাজান
সিকদার ও জলিল সিকদার তার বাড়ীর পাশে একটি রেকডিং খালে বাধ দিয়ে
দীর্ঘ দিন ধরে মৎস্য চাষ করে আসছে।শনিবার সকালে গ্রামের ১০/১২জন
প্রভাবশালী লোক এসে পুর্ব শক্রতার জের ধরে ওই মৎস্য ঘেরের বাধ কেটে দেয়।
এতে শাহাজান সিকদার,
জলিল সিকদারের তিন লক্ষ টাকার মাছ ঘের থেকে বের হয়ে খালে চলে যায়।
সোমবার সকালে একদল সংবাদকর্মি সড়েজমিনে গেলে স্থানীয় ইউপি সদস্য এস,এম,ফজলুল হক
,মুজিবর মোল্লা,হাসান শেখ,নজু মোল্লা,মিলন মোল্লা,মনি মোল্লা,মো: জাহাঙ্গীর,
মো: মতিয়ার রহমান বলেন,এই গ্রামের গান্ধী মোল্লার পুত্র শাহিন মোল্লাও তার লোকজন
জলিল সিকদারের মৎস্য ঘেরের বাধ কেটে দেয় এতে তার অনেক ক্ষতি হয়েছে।
তবে অভিযুক্ত শাহিন মোল্লার সাথে কথা হলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বিকার করে
বলেন,চাকুরীর সুবাদে আমি পরিবার নিয়ে বাগেরহাট শহরে বসবাস করি,জলিল
সিকদারদের সাথে জমিজমা,মামলা মকদ্দমা নিয়ে বিরোধ রয়েছে,আর রেকডিয়
খালে বাধ থাকায় জলাবদ্বতার কারনে কে বা কাহারা রেকডিয় খালের বাধ কেটে দিয়েছে আমি জানিনা।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোরশেদা
আক্তার,বলেন,আমি বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছিলাম কিন্ত একটি পক্ষ সেটা মানেনি।তাদের
নাকি উপর মহলে হাত রয়েছে,তবে যারাই ঘেরের বেরীবাধ কেটে শাহাজান সিকদার,জলিল
সিকদারের ক্ষতি করেছে সেটা কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যায়না।
মোড়েলগজ্ঞ থানার অফিসার ইনচার্জ কে এম,আজিজুল ইসলাম বলেন,এলাকায় উভয় পক্ষের সাথে জমিজমা নিয়ে বিরোধ রয়েছে,পাল্টা পাল্টী অভিযোগ হয়েছে,বিষয় গুলি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।এসব ঘটনায় যারাই জড়িৎ থাকুক না কেনো তাদের বিরুদ্বে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।এলাকাবাসী বিষয়টি জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানিয়েছেন।