বাগেরহাটের চিতলমারীতে মেয়ের সম্মান বাঁচাতে অসহায় এক ভ্যানচালক বাবা ২৫ দিন ধরে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।অসহায় ওই পিতা তার মেয়ের সাথে ঘটে যাওয়া অন্যায়ের বিচার দাবিতে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সমাজপতিদের কাছে আকুতি জানিয়েছেন।সুবিচারের আশায় গত দু’দিন আগে তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ঘটনার পর বিষয়টি ধামাচাপা দিতে স্থানীয় এক প্রভাবশালী দারিদ্র ওই পরিবারটিকে নানা ভয়-ভীতি দেখাচ্ছেন।
শনিবার দুপুরে ভ্যানচালক ওই পিতা কান্নাজড়িতকণ্ঠে সাংবাদিকদের জানান,উপজেলার পাটরপাড়া গ্রামের ওয়াপদা পাতারী এলাকায় তিনি স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে বসবাস করে আসছেন।প্রতিবেশী মাহাতাব শেখের ছেলে রুবেল শেখ (২৫) তার দশম শ্রেণী পড়ুয়া কন্যার সাথে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে তোলে।
এর জের ধরে ২৫ দিন আগে রাত ১০ টার দিকে রুবেল শেখ ফুঁসলিয়ে তার মেয়েকে নির্জন এলাকায় নিয়ে শ্লীলতাহানীর চেষ্টা চালায়।এ সময় মেয়ের ডাক-চিৎকারে পথচারি মহিবুল শেখ, জিয়া শেখ,এনায়েত শেখ,আনোয়ার শেখ ও কামাল মিয়া ছুটে গেলে রুবেল শেখ দৌড়ে পালিয়ে যায়।এরপর থেকে তিনি তার মেয়ের উপর ঘটা অন্যায়ের বিচার ও সম্মান রক্ষার্থে দ্বারে দ্বারে ঘুরে আকুতি জানিয়ে বেড়াচ্ছেন।কিন্ত কোন বিচার না পেয়ে গত দু’দিন আগে তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মেয়েটির মা জানান,থানায় অভিযোগের পর বিষয়টি ধামাচাপা দিতে স্থানীয় এক প্রভাবশালী তাদের নানা ভয়-ভীতি দেখাচ্ছেন।ওই এলাকার মুরব্বী (মাতবর) মোঃ নজরুল শেখ,ইসমাইল খন্দকার ও বাকি মোল্লা জানান,ছেলে পক্ষ প্রতাপশালী তাই তারা সামাজিক কোন সমাধানে আসেননি।তারাও এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সুবিচার দাবি করেছেন।
এ ব্যাপারে রুবেলের পিতা মাহাতাব শেখ অভিযোগ অস্বীকার করে জানান,তার ভদ্র ছেলের নামে একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে।তারপরও ওই মেয়েটিকে তার ছেলের সাথে বিয়ে দেয়ার জন্য বলা হলে কন্যা পক্ষ রাজি হননি।এরপর তার ছেলে আর বাড়িতে ফেরেনি।
তবে চিতলমারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর শরীফুল হক সাংবাদিকদের জানান,মেয়েটির বাবা থানায় মৌখিক অভিযোগ করেছে।রাতে এজাহার হবে।অসহায় ওই পরিবারটিকে পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।