করোনা সংকটকালে শরণখোলার নন-এমপিও ভুক্ত শিক্ষকগন সরকারি অনুদান পেলেও উপজেলার কয়েকটি কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষকরা যারা কোমলমতি শিশুদের শিক্ষাদানের কাজে নিয়োজিত তাদের নিয়ে কারো চিন্তা কিংবা মাথাব্যাথা নেই। শিক্ষার্থীদের বেতনে পরিচালিত এই কিন্ডারগার্টেন গুলোতে করোনা শুরু থেকে বেতন নেওয়া বন্ধ থাকায় শিক্ষকদের বেতন দেওয়া যাচ্ছে না।
তাফালবাড়ী বাজারের শহীদ তিতুমীর শিশু একাডেমীর অধ্যক্ষ রিপাত ইসলাম মিতু ও ক্লাসিক কিন্ডার গার্টেনের অধ্যক্ষ খাদিজা আজাদ, আমড়াগাছিয়া বাজারের শুভ বিদ্যা নিকেতনের অধ্যক্ষ সগীর হোসেন, জানান, সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী গত ২৫ মার্চ থেকে কিন্ডার গার্টেনগুলো বন্ধ থাকার কারনে আমরা কয়েকমাস ধরে বাড়িতে আছি এবং টিউশন আদায় বন্ধ থাকায় আমাদের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মানবেতর জীবন যাপণ করছি।
রায়েন্দা বাজারে অবস্থিত ভাষানী কিন্ডার গার্টেনের অধ্যক্ষ ইলিয়াস হোসেন লিটন এবং মেরিট একাডেমির অধ্যক্ষ সালমা আকতার সাগর জানান, রায়েন্দা বাজরের পাঁচরাস্তায় অবস্থিত হোপ ইলিমিন্টারী স্কুলের অধ্যক্ষ নুরুল হাসান জানান, করোনা পরিস্থিতি শুরু থেকেই কিন্ডার গার্টেনগুলো বন্ধ আছে। তবে, ৩নং রায়েন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিলনের ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে শিক্ষক প্রতি ১কেজি চাল ছাড়া সরকারী কোন সহায়তা তারা পাননি।
শরণখোলা উপজেলার বিভিন্ন কিন্ডারগার্টেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মালিক ও শিক্ষকগনের দাবি বর্তমান সরকারের শিক্ষাবান্ধব প্রধানমন্ত্রী তাদের বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে অতিদ্রুত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবেন। রায়েন্দা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিলন জানান, আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে সাধ্যমত প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহীন জানান, কিন্ডার গার্টেনগুলোর শিক্ষকদের তালিকা পেলে সরকারী নিয়মানুযায়ী সহযোগীতা করা হবে।