কুরবানীর গরুর হাটে গরু কেনার খাজনা চাওয়ায় শরণখোলা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আজমল হোসেন মুক্তা ক্ষুব্ধ হয়ে টোলঘর ভাংচুর ও আদায়কারীকে মার ধরের ঘটনা শরণখোলায় টক অফ দা টাউনে পরিনত হয়েছে। গত দু’দিন ধরে ঘটনাটি উপজেলার বিভিন্ন হাটে বাজারে ও চায়ের দোকানে আলোচনার ঝড় তুলেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বুধবার দুপুরে শরণখোলা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আজমল হোসেন মুক্তা উপজেলার আমড়াগাছিয়া কুরবানীর গরুর হাটে দুইটি গরু ক্রয় করেন। এ সময় তার সাথে থাকা সহযোগীরা গরু নিয়ে যাবার সময় খাজনা আদায়কারী কর্তৃপক্ষের কর্মচারীরা খাজনার রশিদ দেখতে চান।
এ খবর শুনে উত্তেজিত হয়ে আজমল হোসেন মুক্তা ও তার সহযোগী মনির তালুকদার, আরাফাত মৃধা সহ ৭/৮ জন নেতা কর্মী গরুর হাটের টোলঘরে হামলা চালায়। এ সময় তারা টোল ঘরে থাকা শরণখোলা থানা পুলিশের সামনেই আদায়কারী রুমান (২২) কে বেধারক মারপিট ও রশিদ বই সহ অন্যান্য কাগজপত্র তছনছ করে।
এ ঘটনায় হাটে আগত ক্রেতারা আতঙ্কে দিগি¦দিক ছোটাছুটি শুরু করে। দূর থেকে আগত গরুর মালিকরা তাদের গরু ট্রাকে তুলে চলে যায়। এক পর্যায়ে শরণখোলা থানার এস.আই তকিবুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন।
টোল আদায়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মাহফুজুর রহমান প্রিন্স জানান, এ হামলায় ঘটনায় গরুর হাটে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় তারা ব্যবসায়ীক ভাবে চরম ক্ষতগ্রস্ত হয়েছেন। অবশ্য ঘটনার পর পরই আজমল হোসেন মুক্তা শরণখোলা প্রেসক্লাবে ছুটে এসে এ ঘটনা অস্বীকার করে সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল এবং তা মিমাংশা হয়েছে বলে দাবী করেন।
এর আগে আজমল হোসেন মুক্তা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রিনা আক্তার সাগরকে শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করায় তাকে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছিল।