‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’, ‘চোখেরই জলে লেখা’, ‘ক্ষমা করে দিও আমাকে’, ‘জ্বালা জ্বালা এই অন্তরে’ গানগুলো এখনো মানুষের মুখে মুখে ফেরে। একই গায়কের ‘বেশ বেশ বেশ, শাবাশ বাংলাদেশ’ গানটি জনপ্রিয়তার বিচারে বাংলাদেশ ক্রিকেটের অঘোষিত থিম সং-এ পরিণত হয়েছে। বলছি, জনপ্রিয় সংগীত তারকা আসিফ আকবরের কথা।
ভক্ত–শ্রোতারা ভালোবেসে যাকে গানের যুবরাজ বলেও সম্মানিত করেন। এবারের জন্মদিনটাকে সাদামাটাভাবেই পালন করবেন আসিফ।
গায়ক আসিফ আকবর জানান, করোনা এবং কালরাত্রির কারণে ইচ্ছে থাকার পরও কেক কাটা হচ্ছে না এবার। তবে নিজের জন্মদিন নিয়ে ভক্ত-অনুরাগীদের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় কাটাবেন তিনি।
১৯৭২ সালের এই দিনে কুমিল্লার এক মুসলিম পরিবারে জন্ম নেন আসিফ আকবর। ২০০১ সালে প্রথম অ্যালবাম ‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’ প্রকাশ করে রাতারাতি তারকা বনে যান তিনি। তার এই অ্যালবাম দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিক্রিত অ্যালবাম হিসেবে স্বীকৃত। এই অ্যালবামের সাফল্যের পর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। তার অসংখ্য গান শ্রোতাপ্রিয় হয়েছে।
এরপর একক, মিক্সড ও চলচ্চিত্র যেখানেই গান করেছেন আসিফ, সেখানেই তার গান লুফে নিয়েছেন শ্রোতারা। কয়েক বছর থেকে সমান তালে গানের ভিডিও প্রকাশ করে যাচ্ছেন তিনি। মিউজিক ভিডিওতেও নানা চরিত্রে অভিনয় করে তাক লাগিয়েছেন আসিফ।
বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে ‘বেশ বেশ বেশ-শাবাশ বাংলাদেশ’ গানটি গেয়ে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন ক্রিকেট পাগল এই গায়ক। বিশ্বের যে প্রান্তেই খেলা হোক, সেখানে বাংলাদেশিরা থাকলে আসিফের এই গানটি বাজাতে শোনা যায়।
গানের বাইরে আসিফ এখন নায়ক ও লেখক হিসেবেও পরিচিত ভক্তদের কাছে। ‘গহীনের গান’ নামের মিউজিক্যাল ফিল্মে অভিনয় করে গায়ক থেকে নায়ক হয়েছেন তিনি। লেখক হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেছেন আসিফ। গত বছরের বইমেলায় প্রকাশ হয় তার লেখা প্রথম বই ‘পোটকরা টু ম্যানহাটন’।
ক্যারিয়ারে অসংখ্য স্বীকৃতি তিনি অর্জন করেছেন। সেরা কণ্ঠশিল্পী হিসেবে দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এ ছাড়া ছয়বার মেরিল প্রথম আলো পুরস্কারও তার ঝুলিতে নিয়েছেন।
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি সালমা আসিফ মিতুকে বিবাহ করেন। তাদের রণ এবং রুদ্র নামে দুটি সন্তান রয়েছে।