নরসিংদীতে কঠোর লকডাউনে মেঘনা নদীতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় কিশোরগ্যাং এর ৪৬ সদস্যকে দেশীয় অস্ত্রসহ আটক করেছে জেলা প্রশাসন। গতকাল শনিবার ২৪ জুলাই বিকালে কোভিড-১৯ সংক্রমন নিয়ন্ত্রন ও লকডাউন বাস্তবায়নে নরসিংদী জেলা প্রশাসক আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খান এঁর নির্দেশনা মোতাবেক নরসিংদীর এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ রইছ আল রেজুয়ান নাগরিয়াকান্দি ব্রীজ সংলগ্ন মেঘনার শাখা নদীতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় তাদের আটক করা হয়।
সরকারের দেওয়া কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন করতে নজরপুর ইউনিয়নের শেখ হাসিনা সেতু ও আশপাশ এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে ৪৬ জনের বৃহৎ কিশোরগ্যাং এর দল একটি ইঞ্জিনচালিত স্টিল বোডের (নৌকা) নিয়ে উচ্চস্বরে সাউন্ড বক্স বাজিয়ে নদীতে ঘোরাফেরা করছিল। বিষয়টি মোবাইল কোর্টের নজরে আসলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নৌকাটি আটক করার সিদ্ধান্ত নেন। টের পেয়ে উক্ত কিশোরগ্যাং এর সদস্যরা নৌকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও বিজিবি সদস্যগন স্পিডবোর্ড দিয়ে ধাওয়া করে নৌকাটি আটক করতে সক্ষম হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নৌকায় অবস্থারত যাত্রীদের প্রশ্ন করলে তারা কোন নির্দিষ্ট উত্তর দিতে না পারায় সন্দেহ হলে নৌকার ভিতরে তল্লাশি করে প্লাস্টিকের বস্তায় রাখা বিভিন্ন প্রকারের ধারালো দেশীয় অস্ত্র (চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল, রামদা, রড, নাইনচাক্কু,প্লাস্টিকের পাইপ) উদ্ধার করা হয়। কিশোরগ্যাং এর সদস্যরা নরসিংদী পৌর এলাকার কাউরিয়াপাড়া, শালিধা এবং মাধবদী থানাধীন চাঁন্দেরপাড়া ও নজরপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা বলে জানা যায়।
যাচাই বাচাই করে আটককৃত কিশোরগ্যাং এর ৭ জনের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমান পাওয়ায় এক্সিকিটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নিয়মিত মামলা দেওয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। বাকি সদস্যদের বয়স কম হওয়াতে বিবেচনা করে মোবাইল কোর্টের আওতায় জরিমানা করা হয় এবং মোসলেকা নিয়ে অভিবাবকের কাছে হস্তান্তর করা হয়।