নরসিংদীর মনোহরদীতে ভুয়া এমবিবিএস চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে রোগী দেখা এবং ব্যবস্থাপত্র দেওয়ায় নারায়ণ চন্দ্র মোদককে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এ সময় ভুল চিকিৎসা দেওয়ায় আরও ৮০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আব্দুস সালাম ওই জরিমানা করেন।
জানা গেছে, ভুয়া চিকিৎসক চালাকচর বাজারের নিউ অনন্যা ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী। কোনো সনদ না থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে ফি নিয়ে রোগী দেখে আসছেন তিনি।
এর আগে ক্ষতিগ্রস্ত বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী সেলিনা বেগম জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর নরসিংদী কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দেন। এর প্রেক্ষিতে তারা এই অভিযান পরিচালনা করেন।
ক্ষতিগ্রস্ত বাচ্চু মিয়া চালাকচর গ্রামের আবু সিদ্দিকের ছেলে। তিনি পেশায় একজন গাড়ি চালক।
বাচ্চু মিয়া জানান, চার মাস আগে তার পায়ে চুলকানি দেখা দেয়। পরে ওষুধ আনতে চালাকচর বাজারের নিউ অনন্যা ফার্মেসিতে যান। সেখানে কথিত চিকিৎসক নারায়ণ চন্দ্র মোদকের পরামর্শে তার সহযোগী মাসুমকে দেখালে তিনি কিছু ওষুধ লিখে দেন। এতে প্রতিকার না পেয়ে এক সপ্তাহ পর পুনরায় সেখানে যান বাচ্চু মিয়া। কোনো পরীক্ষা ছাড়াই নারায়ণ চন্দ্র মোদক তার নিজস্ব ব্যবস্থাপত্রে নতুন করে ইঞ্জেকশনসহ কিছু ওষুধ লিখে দিয়েছেন। সেগুলো প্রয়োগের পর তার অবস্থার অবনতি হতে থাকে।
একপর্যায়ে বাচ্চু মিয়ার শরীরের চামড়া পুড়তে থাকে। হাতের নখ, মাথার চুল ও পশম ঝড়তে থাকে। এরপর বাচ্চুর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় স্বজনরা তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি ওই মেডিকেলের সহকারী অধ্যাপক এটিএম আসাদুজ্জামানের তত্তআবধানে রয়েছেন। চিকিৎসক জানিয়েছেন বাচ্চু মিয়া অপচিকিৎসার শিকার।