November 15, 2024, 12:30 am
শিরোনাম:
শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠক হিসেবে জাতীয় যুব পুরস্কার পেয়েছেন কক্সবাজারের নুরুল আফসার শিকদার মনোহরদীতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন মনোহরদীতে দিনব্যাপী পাট চাষী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত মনোহরদীতে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রকে বেধরক মারধরের অভিযোগ মনোহরদীতে জনমত জরিপ ও প্রচার-প্রচারণায় এগিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী তৌহিদ সরকার মনোহরদীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী “আলোকিত গোতাশিয়া” ফেসবুক গ্রুপের পক্ষহতে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে অসহায়দের মাঝে শিল্পমন্ত্রীর ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে বালু উত্তোলনের দায়ে খননযন্ত্র ও বালুর স্তুপ জব্দ এতিম শিশুদের নিয়ে ইফতার করলেন মনোহরদীর ইউএনও হাছিবা খান

এক লাইট এক ফ্যানে মাসে বিদ্যুৎ বিল ৭ হাজার টাকা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
  • আপডেটের সময় : রবিবার, জুন ৪, ২০২৩
  • 417 দেখুন

কুড়িগ্রামে একটি ঘরে একটি লাইট ও একটি মাত্র ছোট ফ্যান চালিয়ে বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৭ হাজার ২শ টাকা। এতে করে বিপাকে আছেন কাছিরন বেওয়া নামের এক বিধবা নারী।

কাছিরন বেওয়া জেলার উলিপুর পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের রামদাস ধনিরাম সরদার পাড়া গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত কাশেম আলীর স্ত্রী। একমাত্র মেয়েকে বিয়ে দিয়ে বাড়িতে একা বসবাস করেন। সরকারের দেওয়া বিধবা ভাতা আর অন্যের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি।

বিদ্যুতের এমন অস্বাভাবিক বিলে কাছিরনের ঘুম উড়ে যাওয়ার উপক্রম। বিলের কাগজ নিয়ে এর বাড়ি ওর বাড়ি করে অস্থিরতায় দিন কাটছে তার। দুইদিন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উলিপুর অফিসে গেলেও কোনও সমাধান মেলেনি। বিল নিয়ে দিনমজুর এই নারী দিশাহারা। তিনি এর সমাধান দাবি করে তাকে ঝামেলামুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন।

কাছিরনকে দেওয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মে মাসের বিলের কাগজে দেখা গেছে, বর্তমান ইউনিট ৬০, পূর্ববর্তী ইউনিট ০ ও ৭১৬। ব্যবহৃত ইউনিট উল্লেখ করা হয়েছে ০। তবে গড় বিল উল্লেখ করা হয়েছে ৬ হাজার ৪৬২ টাকা। নির্ধারিত তারিখের মধ্যে বিল পরিশোধ করলে কাছিরনকে অন্যান্য চার্জসহ সর্বমোট ৭ হাজার ২০০ টাকা পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।

কাছিরন বেওয়া জানান, বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার পর ঘরে একটিমাত্র লাইট আর একটি মিনি ফ্যান ব্যবহার করে আসছেন। এর বাইরে তিনি কোনও বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন না। প্রতি মাসে ১৩০ টাকা থেকে ১৩৫ টাকা বিদ্যুৎ বিল আসছিল। এতো টাকা করে বিল আসায় মার্চ মাসে তিনি তার মিটারটি পরিবর্তন করে নেন। এরপর দুই মাস কর্তৃপক্ষ তাকে বিদ্যুৎ বিল দেয়নি। মে মাসে তাকে বিদ্যুৎ বিল দেওয়া হয়েছে ৭ হাজার ২০০ টাকা। প্রতিবেশিদের কাছে এতো টাকার বিদ্যুৎ বিল আসার কথা শুনে তার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ার উপক্রম।

কাছিরন বলেন, মাইনষের বাড়িত কাজ করি আর সরকারের ভাতার টাকায় কোনরকম সংসার চলে। একটা লাইট আর ফ্যান চলেয়া এতো টাকা বিল হয় কেমন করি। বিলের কাগজ আসার পর ভাত রাইনবারে পাই না। চিন্তায় চিন্তায় ইয়ার উয়ার বাড়ি যাই। বিলের কাগজ নিয়া দুইদিন অফিস গেছি। কোনও কথায় শোনে না। ৭ হাজার ২শ টাকা পরিশোধ করবার কইছে। আমি গরিব মানুষ, এতো টাকা কেমন করি পরিশোধ করি। তোমরা ইয়ার সমাধান করি দ্যাও।

কুড়িগ্রাম লালমনিরহাট পল্লী বিদু্ৎ সমিতির উলিপুর অফিসের ডেপুটি জোনাল ম্যানেজার (ডিজিএম) সোহানুর রহমান বলেন, বিলের কাগজে যে রিডিং উল্লেখ করা হয়েছে সেটি আমার কাছেও অস্বাভাবিক মনে হয়েছে। আমি বিলিং সহকারীর কাছে জানলাম যে এটা সমস্যা হয়েছে। সংশোধন করা হবে।

বিল প্রস্তুতকারীর বরাতে ডিজিএম বলেন, পুরাতন মিটারের একটি ইউনিট ভুলবশত এই বিলে উঠে গেছে। বিলিং সহকারী আগের নষ্ট মিটারের ইউনিট এই বিলে দিয়ে থাকতে পারেন। আগামীকাল সকালে আসলে বিষয়টি দেখে আমরা সংশোধন করে দেবো।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর

https://bd24news.com © All rights reserved © 2022

Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102