স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বাঙালি জাতির ভাগ্য উন্নয়নের স্বপ্ন দেখে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারা জীবন জেল-জুলুম অত্যাচার নির্যাতন ভোগ করেও গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন এবং বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিলেন।
বাংলাদেশ যেন সোনার বাংলা হতে না পারে এজন্য বঙ্গবন্ধুকে বাঁচতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে এসে বঙ্গবন্ধুর সেই লক্ষ্য পূরণ করার জন্য নিরলসভাবে তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পুর্ণ। বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতাসহ বিদ্যুৎখাতে অভুতপূর্ব উন্নয়ন সাধন করা হয়েছে। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।
শনিবার (১১নভেম্বর) দুপুরে স্থানীয় সরকার অধিদপ্তর কর্তৃক ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত বানিয়াচং উপজেলা পরিষদের ৪তলা প্রশাসনিক ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী আরো বলেন, ষড়যন্ত্র করে কোন লাভ হবে না।
নির্বাচন আসলে একটা গোষ্টি মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য আজ বাংলাদেশ একটি অনুন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে এসে দাঁড়িয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে উন্নত ৩০টি দেশের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে। দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সব সময় মনিটরিং করেছিলেন শেখ হাসিনা।
জনসভায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান মিয়া এবং যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিবুর রহমানের যৌথ সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ¦ অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: আলমগীর চৌধুরী, চীফ ইঞ্জিনিয়ার মো: আলী আক্তার হোসেন, জার্মান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্বাস আলী চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন মাষ্টার, সাধারণ সম্পাদক আঙ্গুর মিয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন খান, ১নং উত্তর-পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খান ও ১১নং মক্রমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আহাদ মিয়া।
বক্তব্যর একফাঁকে এলজিলারডি মন্ত্রীকে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। জনসভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরী।
এলজিআরডি মন্ত্রী মো: তাজুল ইসলাম জনসভার পূর্বে হবিগঞ্জের পৌর শ্বশ্মানঘাটে পৌর পানি লৌহ দূরীকরণ এবং উপজেলার ১০নং সুবিদপুর ইউনিয়নের প্রতাপপুর গ্রামবাসীর জন্য ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত রাস্তা ও ব্রিজ উদ্বোধন করেন।
জনসভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ছাড়াও সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি এবং সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। জনসভার শুরুতেই পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন কাজী মাওলানা আতাউর রহমান ও গীতা পাঠ করেন ভানু চন্দ্র চন্দ।