করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. প্রিতি ঘোষ জয়া করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সোমবার বিকালে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ রাজিব সরদার বিষয়টি নিশ্চিত করে কালের কণ্ঠ জানান, ডা. প্রিতি ঘোষ জয়া কয়েকদিন ধরে সর্দি জ্বরে ভুগছিলেন। গত ৩ এপ্রিল তার নমুনা সংগ্রহ করে পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়।সোমবার বিকালে তার রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। তিনি বর্তমানে হোম আইসোলেশনে আছেন।
এদিকে করোনা ভাইরাসের মোকাবেলায় সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর বিধি আরোপ করে ৭ দিনে জন্য লকডাউন ও গণপরিবহণ বন্ধ থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন।কিন্তু সব নির্দেশনা উপেক্ষা করে মানুষ ঘরে থেকে বাহির বের হচ্ছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য বার-বার তাগিদ দিলেও সাধারণ মানুষ হাটছেন উল্টো পথে।
একদিকে যেমন লকডাউন তেমনি সামনে আসছে রমজান মাস। অনেকেই যেমন কাচা বাজার করছেন তেমনি অনেকেই আবার কিনে রাখছেন কাপড়-চোপড়। তালা উপজেলার বিভিন্ন বিপনীবিতান, হাট-বাজারে বেড়েছে মানুষের উপচেপড়া ভীড়। কোথাও নেই সামাজিক দুরত্ব বা স্বাস্থ বিধি মানার প্রবণতা। ক্রেতারা যেমন মানছে না স্বাস্থ বিধি তেমনি দোকানীদেরও একই অবস্থা।
লকডাউনের প্রথম দিনেই করোনা সংক্রমণ রোধে তালা উপজেলার বিভিন্ন মার্কেট ও শপিং মলে স্বাস্থ বিধি ও সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিতে মাঠে নেমেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ তারিফ-উল-হাসান এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম তারেক সুলতান এর নেতৃত্বে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বিশেষ সচেতনতামূলক অভিযান ও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় মাস্ক ব্যবহার না করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখা, মোটরযানের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকা, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারি বিধি নিষেধ ভঙ্গ করে দোকান খোলা রাখা ইত্যাদি কারণে দন্ডবিধি ১৮৬০ এর ২৬৯ ধারা এবং সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ধারা ৬৬, ৭২ এবং ৯২(১) মোতাবেক ২০টি মামলায় ২৫হাজার ১শ টাকা জরিমান আদায় করেন ভ্রাম্যমান আদালত।
এ সময় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সকলকে সংশ্লিষ্ট আইন ও সরকারি নির্দেশনা মেনে চলার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তারিফ-উল-হানিফ