কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পরকীয়ার জেরে এরশাদুল ইসলাম (৩০) নামে এক যুবককে ধাঁরালো চাকু দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। বাঁচাতে আসা মাসুদ(২০) নামে এক যুবককে গুরুতর জখম করে একই গ্রামের লিটনের ছেলে ঘাতক শিহাব।
নিহত এরশাদুল উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের খেয়ারচর গ্রামের সুরুজ্জামানের ছেলে। আহত মাসুদ রানা একই গ্রামের ইন্না মিয়ার ছেলে বলে জানা গেছে।
রোববার (২০ জুন) রাত ৮টা দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের খেয়ারচরের দক্ষিনে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানায়, নিহত এরশাদুল দীর্ঘদিন যাবৎ তার চাচাতো শালক রাশেদুলের স্ত্রী লিমার সাথে পরকিয়ায় লিপ্ত ছিলেন। বিষয়টি জানাজানি হলে লিমার ছোটভাই শিহাব ক্ষিপ্ত হয়ে ধাড়ালো চাকু গলায় ঢুকিয়ে আঘাত করলে ঘটনাস্থলে নিহত হন এরশাদুল।
অপরদিকে এরশাদুলের সঙ্গে থাকা মাসুদ রানা তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে তাকেও হাতে থাকা ছুড়ি দিয়ে এলোপাথারি কোপ দিয়ে খুন করার চেষ্টা চালায় শিহাব। এসময় মাসুদ রানার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে আহতকে উদ্ধার করে রৌমারী হাসপাতালে ভর্তি করান। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। খবর পেয়ে এরশাদুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে রৌমারী থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
রৌমারী থানার পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোন্তাছের বিল্লাহ জানান, এঘটনায় অভিযুক্ত শিহাবসহ ২ জনকে আসামী করে নিহতের বাবা রৌমারী থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানো হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।