কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার মোগলবাসা ইউনিয়নে অবস্থিত সেনের খামার রহমানীয়া দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়া শূন্য পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশ পত্র গোপন করে এবং রেজিস্টার খাতায় জাল স্বাক্ষর দিয়ে চাকুরী প্রার্থীর নিয়োগ পরীক্ষা হতে বঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষক সফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ।
গত ২৪ মার্চ আয়া শূন্য পদে পরীক্ষা দিতে না পারায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস কুড়িগ্রামসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন চাকুরী প্রার্থী মাধবী খাতুন।
অভিযোগ পত্র সুত্রে জানা যায়, মাধবী খাতুন সরকারি বিধি ও বিদ্যালয়ের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক গত ২৩/১২ /২১ ইং তারিখে দৈনিক বাংলার মানুষ ও। দৈনিক মানব জমিন পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে আয়া পদে ৫শত টাকার জনতা ব্যাংক কুড়িগ্রাম শাখার পে-অর্ডারসহ আবেদন করেন । গত ২৪শে মার্চ ২২ ইং নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা লোক মারফত জানলে চাকরি প্রার্থী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককের কাছে নিজের প্রবেশ পত্র বিষয়ে জানতে চান। কিন্তু প্রধান শিক্ষক মাধবী খাতুনকে কোন পাত্তা না দিয়ে প্রবেশ পত্র ও পরীক্ষার বিষয়ে কিছু জানেন না বলে তাড়িয়ে দেন। এতে মাধবী খাতুন বিচলিত হয়ে গত ২৪/০৩/২২ ইং নিয়োগ পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষা বোর্ডে উপস্থিত নিয়োগ কমিটির সামনে প্রবেশ পত্র না পাওয়ার আকুতি জানান। নিয়োগ বোর্ড বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে বিষয়টি অবগত করলে প্রার্থীর বাবার হাতে প্রবেশ পত্র দেয়া হয়েছে বলে এড়িয়ে যান। প্রার্থীর ভাষ্যমতে মাধবী খাতুনের বাবা মারা যাওয়ার প্রায় ১০ বছর অতিবাহিত হয়েছে।
মাধবী খাতুন বলেন, মনগড়া নিজেদের পছন্দ মত লোক নিয়োগ দিয়েছে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক। এ পরীক্ষায় আমাদের মত আরো কয়েকজনের প্রবেশ পত্র না দিয়ে সভাপতির ছেলে আর প্রধান শিক্ষকের পছন্দসই ব্যাক্তিকে নিয়োগ পরীক্ষার নামে নাটক সাজিয়ে মনোনীত করে।
অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক সফিকুল ইসলামের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, অভিযোগকারীর অভিযোগ ভিত্তিহীন আমরা নিয়ম অনুযায়ী তাদের বাড়িতে প্রবেশ পত্র পৌঁছে দিয়েছে । তিনি আরো বলেন, আমার নিকটতম আত্মীয় (খালু) মারা গেছেন আমি সেখানে আছি। আপনার সঙ্গে পরে কথা বলবো।
অত্র প্রতিষ্ঠানের সভাপতি আব্দুল জব্বার বলেন, পরীক্ষার দিন প্রার্থী ও তার অভিভাবক অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ এসে অভিযোগ করেছিল। চেয়ারম্যানসহ আমরা সবাই সেদিন তাকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য বলেছিলাম। কিন্তু তারা অংশগ্রহণ করেনি। রেজুলেশনে প্রার্থীর স্বাক্ষর জাল বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পিয়ন কিভাবে প্রবেশপত্র বিতরণ করেছে এবং স্বাক্ষর কার নিয়েছে এ বিষয়ে আমি জানিনা।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জহুরুল হক বলেন, পরীক্ষার দিন এক প্রার্থী এসে প্রবেশপত্র না পাওয়ার মৌখিক অভিযোগ করেছে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য বলা হয় কিন্তু পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি। লিখিত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, এখন পর্যন্ত আমি কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি।