আবু হানিফ, বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
বাগেরহাটের শরণখোলায় ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে সাউথখালী ইউনিয়নের বগী ও গাবতলা এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত ৪০পরিবারের মাঝে বসতঘর হস্তান্তর করেছে সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার দুপুরে বরিশাল শেখ হাসিনা সেনানিবাসের ২৮পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আল মাসুম এই ঘর হস্তান্তর করেন।
এসময় প্রত্যেক পরিবারকে একটি করে খাদ্য সহায়তার প্যাকেট তুলে দেওয়া হয়। ৪৩বীর ইউনিটের সেনাসদস্যরা নিজ হাতে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরগুলো পূননির্মাণ করেন।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আল মাসুম জানান, সেনাসদস্যরা নিজেরাই ঘরগুলো পূননির্মাণ করেছেন।
তাছাড়া, ভাঙনকবলিত বগী থেকে গাবতলা আশার আলো মসজিদ পর্যন্ত দুই কিলোমিটার রিং বেড়িবাঁধের কাজও সেনাবাহিনীর তত্বাবধানে শিগগিরই শুরু হবে। এই দুই কিলোমিটার এলাকায় বলেশ্বর নদী শাসনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেই স্থায়ীভাবে নির্মাণ করা হবে টেকসই বেড়িবাঁধ।
ঘর হস্তান্তরকালে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি নির্মাণ প্রকল্পবাস্তবায়ন ইউনিটের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল শামস ইয়াসীন খান, লেফটেন্যান্ট সাইফুল্লাহ খান, শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহীন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসকে আব্দুল্লাহ আল সাঈদ, বেরিবাঁধ প্রকল্পের সিইসি দেলোয়ার হোসেন, সিইআইপি-১ এর খুলনা’র নির্বাহী প্রকৌশলী আশ্রাফুল আলম, বাগেরহাট পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদুজ্জামান খান উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহীন জানান, বরিশাল সেনানিবাসের ২৮ ব্রিগেডের বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আল মাসুমের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল সাউথখালী ইউনিয়নের গাবতলা, বগী, চালিতাবুনিয়া ও খুড়িয়াখালী এলাকা পরিদর্শণ করেছেন এবং সেনাবাহিনীর তদারকিতে আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় রিং-বাঁধ নির্মানের কাজ শুরু হবে।