আবু হানিফ, বাগেরহাট অফিসঃ
মোংলায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্বামী পরিত্যাক্তা দুই সন্তানের জননীকে ধর্ষণের অভিযোগে উঠেছে একই এলাকার এক যুবকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার দাবী করে স্বামী পরিত্যাক্তা তানিয়া বেগম (২৪) অভিযুক্ত ধর্ষক শাকিল হাওলাদারের নামে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ দায়েরর পর ৬ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশের এ বিষয়ে তেমন কোন তৎপরতা নেই এবং মামলাও রেকর্ড করেননি বলে অভিযোগ ধর্ষণের শিকার তানিয়া ও তার পরিবারের। এ বিষয়ে মোংলা থানার এসআই মো: আহাদ আহম্মদ বলেন, এটি অনৈতিক ও অসামাজিক কার্যকলাপ নাকি ধর্ষণ সেটি নিয়ে তদন্ত চলছে।
তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এদিকে বিষয়টি ধাপা চাপা দেয়ার জন্য স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজন উঠে পড়ে লেগেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। থানা দায়েরকৃত অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায়, উপজেলার চিলা ইউনিয়নের দক্ষিণ হলদিবুনিয়া গ্রামের ইসমাইল হাওলাদারের ছেলে শাকিল হাওলাদার (২৭) দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী মুনসুর শেখের স্বামী পরিত্যাক্তা কন্যা তানিয়া (২৪) কে কুপ্রস্তাব, শারীরিক সম্পর্কসহ বিয়ের প্রলোভন দিয়ে আসছিল।
এরপর গত ১৩ জনু রাত সাড়ে ১১ টার দিকে তানিয়ে ঘরে ঢুকে তাকে একা পেয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে শাকিল। এ ঘটনায় পরদিন ১৪ জুন মোংলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন তানিয়া। থানায় অভিযোগ দেয়ার পর থেকে তানিয়া ও তার মামা ফরহাদ শেখকে নানা ধরণে হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে শাকিল ও তার পিতা ইসমাইলসহ স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
প্রভাবশালীদের হুমকি-ধামকিতে নিরাপত্তাহীনতায় তানিয়া ও তার মামা বাড়ী-ঘর ফেলে অন্যত্র অবস্থান করছেন। এদিকে প্রভাবশালী ওই চক্রটি এ ঘটনা ৫ হাজার টাকায় মিট মিমাংসার জন্য তানিয়া ও তার মামা ফরহাদ শেখকে নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করে চলেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে ধর্ষণের পর থেকে শাকিল গা ঢাকা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য শাকিলকে পাওয়া না গেলেও তার পিতা ইসমাইল হাওলাদার বলেন, আমার ছেলে এ ঘটনা ঘটিয়েছে কিনা তা আমি জানিনা।
তবে অন্য লোক দিয়ে তার কাছে জিজ্ঞাসা করা হলে ছেলে শাকিল এ ঘটনার সাথে জড়িত নন বলে দাবী করেছেন।