রাস্তা হবে মানুষের চলাচলের সহায়ক কিন্ত সেই রাস্তা যদি হয় একটি প্রবাহমান নদীর মত তাহলে আমরা কি তাকে সড়ক বলতে পারি? বাগেরহাট সদর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়ন এবং যাত্রাপুর ইউনিয়নের সংযোগ সড়কের একমাএ সড়কটির কথা বলছি। যেটি বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে।
কখনও কখনও দূর থেকে এটিকে দেখলে আপনি প্রবাহমান নদী বা খাল বলেও মনে করতে পারেন। বারুইপাড়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড ‘বাগদিয়া’ গ্রাামের প্রধান সড়ক এটি। যাত্রাপুর বাজার থেকে ৮/১০ টি গ্রামে চলাচলের একমাত্র সহজ ও প্র্রধান সড়ক এটি।
গত অর্থ-বছরে ভৈরব নদীটি খনন করার জন্য নদীর মাঝে বাঁধ তৈরী করাতে বৃষ্টির পানি সরবরাহরে উপযুক্ত ব্যবস্থা না থাকায় এই সড়ক সহ আশপাশের গ্রামের বেশ কিছু অংশে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে এবং রাস্তার বেশ কিছু অংশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যা পানিতে তলিয়ে যাওয়ার কারনে গর্তগুলি মানুষের নজর আন্দাজ করা সম্ভব হয়ে উঠছে না।
ফলে জনসাধারণ প্রতিনিয়তই নানা ধরনের দুর্ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছেন। বর্তমানে রাস্তাটি পথচারীদের জন্য খুবই অনিরাপদ ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।এদিকে,চলাচলের জন্য একমাত্র এই রাস্তাটি ছাড়া এলাকাবাসির বিকল্প কোন রাস্তা না থাকায় চলাচলে এ এলাকার লোকজন মারাত্বক বিড়ম্বনার সম্মুখীন হচ্ছেন।
পথচারীদের মধ্যে বাগদিয়া গ্রামের ইমতিয়াজ উদ্দীন বলেন,“বর্ষা মৌসুমে এ রাস্তাটি আমাদের চলাচলের একমাত্র সড়ক হওয়ায় আমাদের নানা ধরনের ঝামেলা পোহাতে হয়। এই রাস্তাটি পুনঃ সংস্করণ ও উঁচু করা অতি জরুরী হয়ে পড়েছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষ ও জন-প্রতিনিধিগন বিষয়টি আমলে এনে রাস্তাটি পুনঃ সংস্করণ এর ব্যবস্থা গ্রহণ করে জনসাধারণের চলাচল উপযোগী করে তোলবেন এটা সরকারের কাছে আমাদের জোর দাবী”।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বারুইপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: ছরোয়ার হোসেন বলেন,আমরা সড়ক ও জনপদ বিভাগকে ইতিমধ্যে বিষয়টি জানিয়েছি তারা বলেছে খুব তারাতারি এটি সংস্কারের ব্যবস্থা করবে।