বাগেরহাটে পণগ্রাফি আইনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকার মামলায় তার সাবেক স্বামী এনায়েত করিম ওরফে রাজিব (৩৫)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার (১২ জুলাই) গভীর রাতে উপজেলা সদরের খেয়াঘাট এলাকা থেকে মোরেলগঞ্জ থানা পুলিশ এনায়েত করিমকে গ্রেফতার করে।
এর আগে রবিবার সন্ধ্যায় স্বামী এনায়েত করিম ওরফে রাজিবের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামী করে মোরেলগঞ্জ থানা মামলা দায়ের করেন ওই শিক্ষিকা।জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সোমবার(১৩ জুলাই) দুপুরে এনায়েত করিম ওরফে রাজিবকে আদালতে সোপর্দ করেছে মোরেলগঞ্জ থানা পুলিশ।
গ্রেফতার এনায়েত করিম ওরফে রাজিব মোরেলগঞ্জ উপজেলার বারুইখালি গ্রামের একেএম মজিদের ছেলে।
মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজিজুল ইসলাম বলেন, একজন স্কুল শিক্ষিকা তার সাবেক স্বামী এনায়েত করিম ওরফে রাজিবের বিরুদ্ধে পর্ণগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় তিনি উল্লেখ করেন স্ত্রী থাকা অবস্থায় ইচ্ছার বিরুদ্ধে এনায়েত করিম বেশকিছু আপত্তিকর ছবি ধারণ করে রাখেন।এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় এনায়েত করিম ওই শিক্ষিকাকে তালাক প্রদান করেন।পরে এনায়েত করিমের কাছে থাকা সেই আপত্তিকর ছবি প্রিন্ট করে বিভিন্ন দপ্তর ও গনমাধ্যমকর্মীদের কাছে প্রেরণ করেন।
বিভিন্ন মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। এ ঘটনা উল্লেখ করে ওই শিক্ষক বাদী হয়ে সাবেক স্বামী এনায়েত করিমের নাম উল্লেখসহ আরও দুই তিনজনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আসামী রাজিবকে গ্রেফতার করা হয়েছে।দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
জোড় পূর্বক আমার উলঙ্গ ছবিও ধারণ করেছেন। আমাকে তালাক দিয়েও খ্যন্ত হয়নি সে। মোটা অংকের টাকার দাবিতে আমার ফেসবুক আইডিতে আজেবাজে কমেন্টস করত এবং ৪টি মুঠোফোন নাম্বার দিয়ে বিভিন্ন সময় চাঁদা দাবি করত। শেষ পর্যন্ত আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্য করার জন্য বিভিন্ন দপ্তর ও গনমাধ্যমে আমার আপত্তিকর ছবি প্রেরণ করে। আমি এই প্রতারকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এ ঘটনায় অন্য যারা জড়িত রয়েছে তদন্ত পূর্বক তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
মামলার বাদী ওই শিক্ষিকা বলেন, স্বামী হিসেবে থাকা অবস্থায় এনায়েত করিম রাজিব বিভিন্ন ভাবে সামাজিক, মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করত। এমন কোন খারাপ কাজ নেই তিনি করেন নি।