রোববার বিকেল চারটায় কুষ্টিয়া যুগ্ম জেলা জজ আদালতের বিচারক রাখিবুল ইসলামের আদালতে দাখিল করা আরজিটি আমলে নিয়ে মামলা হিসেবে রেকর্ডভুক্ত করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাহাতাব উদ্দিন। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের পক্ষে রবিবার কুষ্টিয়া জেলা আদালতে মামলাটি দায়ের করেন উচ্ছেদ হওয়া মার্কেট ও জমির মালিক হোসনে আরা।
তিনি জানান গেল বছরের জুনে তার স্বামীর নামের ৯ শতক জমি কে,এন,বি কে অবৈধভাবে লিজ দেয় জেলা পরিষদ । এরপর জেলা পরিষধের সহায়তায় সেই জমিতে থাকা মার্কেট অবৈধভাবে উচ্ছেদ করে কেএনবি।পরবর্তীতে হাইকোর্ট থেকে এ লিজ স্থগিত করলেও ক্ষমতার দাপটে ঐ জমিতে স্থাপনা নির্মাণ করে কেএনবির মালিক নাসির।
মামলাটি আমলে নিয়ে বিবাদীদের বিরুদ্ধে সমন জারী এবং ২৪ নভেম্বর বিবাদীদের হাজির হয়ে শুনানীর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মার্কেট দখলের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থাকায় যাদের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ মামলা করা হয়েছে তারা হলেন-কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান, সহকারী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম, সার্ভেয়ার মোঃ মনিরুজ্জামান, প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহীদুজ্জামান শাহিন এবং দখলকৃত জমিতে স্থাপনা গড়ে তোলা শিল্পপতি কেএনবি এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুজ্জামান নাসির ।
মামলা সূত্রে জানা যায় গত বছরের ১০ জুন বিকেল চারটায় কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের পশ্চিম পাশে বটতলা এলাকায় রাকিবুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি মালিকানাধীন সত্ব দখলীয় এবং রেকর্ডভুক্ত জমির উপর নির্মিত ২২টি দোকান বিশিষ্ট প্রামানিক মার্কেট নামের দ্বিতল ভবনটি গুড়িয়ে দিয়ে জবর দখল করেন ঘটনাস্থলের পাশের কে এমন বি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামক একটি পোলট্রি, মৎস্য ও পশু খাদ্য প্রস্তুতকারক কারখানার মালিক কামরুজ্জামান নাসির।
তার দাবি জমিটি কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের কাছ থেকে ইজারা সূত্রে প্রাপ্ত । যদিও উল্লেখিত বটতল মৌজার খতিয়ান নং আর এস ৯৫৮ দাগ নং ২০২৮ এর জমির মালিকানা সংক্রান্ত জেলা পরিষদের দাবির কোনো ভিত্তি নেই বলে নিশ্চিত করেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা ।
এ বিষয়ে শিল্পপতি কেএনবি এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামরুজ্জামান বলেন জমিটি আমাকে জেলা পরিষদ লিজ দিয়েছে । মামলা হয়ে থাকলে আমি আইনগতভাবে তা মোকাবেলা করবো । জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।
কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহীদুজ্জামান শাহিন জানান সরকারি কাজ করতে গিয়ে যদি মামলায় হয় তাহলে সেটা সরকার দেখবেন ।