বিডি ২৪ নিউজ রিপোর্ট: কেরানীগঞ্জে বহুবিবাহের আড়ালে পরিকল্পিত অর্থ আত্মসাত ও প্রতারণার এক ভয়ঙ্কর কাহিনি প্রকাশ্যে এসেছে। যৌতুক নিরোধ আইন-১৯৮০ এর ধারা ৩ অনুযায়ী অভিযুক্ত নারী সাথী আক্তারের বিরুদ্ধে তার স্বামী আজিজুল আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার বাদী আহসান উল্লাহ রতনের পুত্র আজিজুল অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন, শান্তিপ্রিয় ও পরিশ্রমী মুসলিম পরিবারের সন্তান হয়েও তিনি বিবাহের পর থেকে অমানবিক নির্যাতনের শিকার হন। বিয়ের সময় সামাজিক প্রথা অনুযায়ী তিন লাখ টাকার কাবিন ধার্য করা হয় এবং প্রায় পাঁচ লাখ টাকার গয়না ও মূল্যবান মালামাল প্রদান করা হয়। অথচ বিয়ের অল্প সময়ের মধ্যেই সাথী আক্তার নানা অজুহাতে অতিরিক্ত টাকা দাবি শুরু করেন, তার চাহিদার যেনো শেষ নেই।
অভিযোগে বলা হয়, ২০২৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর সকাল ৭টার দিকে কাউকে কিছু না জানিয়ে সাথী প্রায় সাত লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার ও দুই লাখ টাকার মালামাল নিয়ে পলায়ন করে। পরে ২২ সেপ্টেম্বর সে ফিরে এসে সংসার করার আশ্বাস দিলেও দ্রুতই শর্ত চাপিয়ে জানায়, ফ্ল্যাট না কিনে দিলে সংসার করবে না। শুধু তাই নয়, হুমকি দিয়ে বলে, শর্ত না মানলে অন্য পুরুষকে বিয়ে করবে।
আজিজুল দাবি করেছেন, সাথীর পূর্বে তিনটি বিয়ে হয়েছিল, যা গোপন রেখে সে চতুর্থবারের মতো প্রতারণামূলকভাবে তাকে বিয়ে করে কেবল আর্থিক ফায়দা লুটার উদ্দেশ্যে। এই বিবাহপ্রবণ প্রতারণার মাধ্যমে কাবিন এবং সম্পদ হাতানোই তার একমাত্র লক্ষ্য।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জানিয়েছেন, সাক্ষীর অভাবে রিপোর্ট দিতে বিলম্ব হচ্ছে, তবে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হবে।