
বিডি ২৪ অনলাইন নিউজ: ইংরেজিতে একটা কথা আছে “”মর্নিং সোজ দ্য ডে”” (Morning shows the day) এই প্রবাদ বাক্যের অর্থ হলো দিনের শুরুটা দেখলেই বুঝা যায় সারাদিন কেমন যাবে।
তদ্রূপ মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলা প্রশাসনের শীষ কর্মকর্তা ইউএনও হিসেবে শাহীনূর আক্তার যোগদানের ১ সপ্তার মধ্যেই এলাকাবাসী বুঝে গিয়েছিলেন তাঁরা যুগযুগ ধরে যেমনটি মনেপ্রাণে কামনা করতেন,মহম্মদপুরে আবির্ভূত হয়েছেন বিসিএস ক্যাডার ও সজ্জন হিসেবে গোটা উপজেলাব্যাপী ধনী গরীব, ছোটোবড়ো সবার কাছে সমানভাবে সমাদৃত শাহীনূর আক্তার ( UNO).
মাত্র ৭ মাসেই এই কর্মকর্তার হাতের ছোঁয়ায় পাল্টে গেছে শিক্ষা সংস্কৃতি ক্রীড়াসহ অফিস পাড়ার চিরচেনা দৃশ্যপট। তেমনি তার কঠোর শাসনে উপজেলা সদর শহর থেকে শুরু করে অজপাড়াগাঁয়ের এঁদোগলিতেও বন্ধ হয়েছে মাদক, ইভটিজিংসহ সামাজিক অবক্ষয়।।
তাছাড়া তাঁর অনুশাসনে মোবাইল ছেড়ে বইমুখী হয়েছে শিক্ষার্থীরা। মাদক ও আড্ডাবাজী ছেড়ে শত-শত কিশোর-কিশোরী, তরুণ- তরুণী, যুবক-যুবতী ফুটবল, ক্রিকেট, জিমনাস্টিকে সাফল্যের স্বপ্ন দেখার পাশাপাশি জন্মভূমির সুনাম সমুন্নত করতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে।।
জনস্বার্থে দ্রব্যমূল্যর উর্ধগতি রোধে ধারাবাহিক বাজার মনিটরিং ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ইতোমধ্যে তিনি আমজনতার শতস্ফূর্ত সমর্থন আদায়ে সক্ষম হয়েছেন। এছাড়া ভূমিদস্যূ, অবৈধ বালি উত্তোলক, চোরা মৎস্য শিকারী ও চায়না দোয়ারী জালের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযান পরিচালনা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতে শাস্তি দিয়ে তিনি সার্বিক পরিস্থিতি অনুকূলে আনতে সক্ষম হয়েছেন।
এছাড়া ইউএনও শাহীনূর আক্তার আক্তার মসজিদ ভিত্তিক সমাজ গঠন, উন্নয়ন ও পবিত্র কুরআন শিক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ। স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার লেখাপড়ার মানোন্নয়নে সর্বদা সচেষ্ট রয়েছেন।
মন্দিরে মন্দিরে সনাতন ধর্মীয় বিষয়ে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা গ্রহণ ও হাসপাতালে চিকিৎসার মান উন্নীতকল্পে তিনি নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।।
অসুস্থ রোগীদের জন্য সার্বক্ষণিক ওষুধ প্রাপ্তির শতভাগ সুব্যবস্থা নিশ্চিতকরণে মহম্মদপুর প্রেসক্লাবের পক্ষে প্রেসক্লাব সভাপতি আজিজুর রহমান টুটুল ও সচেতন সমাজের অনুরোধে তিনি প্রতিরাতে একটি করে ওষুধের ফার্মেসী খুলে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জনকল্যাণে অসংখ্য গঠনমূলক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে ভাগ্যহত উন্নয়ন বঞ্চিত মহম্মদপুরকে যখন ইউএনও শাহীনূর আক্তার একটি দৃশ্যমান অবস্থানে প্রতিষ্ঠিত করার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন, ঠিক তখনই মাত্র ৭ মাসের মাথায় এই জনবান্ধব কর্মকর্তার আকষ্মিক বদলি আদেশের খবরে মহম্মদপুর উপজেলাবাসীদের মাথায় যেনো আকাশ ভেঙে পড়েছে।।
এ বিষয়ে মহম্মদপুর উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি সাংবাদিক আজিজুর রহমান টুটুল, ওষুধ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজু আহম্মেদ, বাজার বণিক সমিতির সভাপতি আক্তারুজ্জামান বিল্লাহ্, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, ক্রীড়া সংস্থার নির্বাহী সদস্য মিজানুর রহমান কাবুলসহ একাধিক সচেতন সমাজের প্রতিনিধি এক ও অভিন্ন সুরে বললেন, ভাগ্যহত মহম্মদপুরে ১৯৮৪ সাল থেকে অদ্যবদি কোনো মানব দরদী অফিসার তেমন কেহ আসেনি। যাও বা একজনকে মহম্মদপুরবাসী পেয়েছিলো তাও মনে হয় শেষরক্ষা হলোনা।
অসংখ্য জনকল্যাণমূখী কর্মকাণ্ড যেগুলো ইউএনও শাহীনূর আক্তার সবেমাত্র সূচনা করেছেন, তা অসমাপ্ত রেখে তিনি যেতে পারেননা। আর আমরা মহম্মদপুরবাসীও তাঁকে যেতে দিবোনা। প্রয়োজনে জেলা প্রশাসক ও খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মহোদয়সহ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি প্রদান এবং মহম্মদপুর নাগরিক সমাজের ব্যানারে মানববন্ধন, পদযাত্রা ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হবে।
উল্লিখিত কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ পূর্বক ইউএনও মহোদয়ের বদলী আদেশ স্থগিত ও কমপক্ষে ৩ বছর তাঁকে মহম্মদপুরে রেখে ভাগ্যহত মহম্মদপুরকে রোল মডেলে প্রতিষ্ঠিত করার প্রাণান্ত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবো।