May 15, 2024, 7:07 am
শিরোনাম:
মনোহরদীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী “আলোকিত গোতাশিয়া” ফেসবুক গ্রুপের পক্ষহতে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে অসহায়দের মাঝে শিল্পমন্ত্রীর ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ মনোহরদীতে ব্রহ্মপুত্র নদী থেকে বালু উত্তোলনের দায়ে খননযন্ত্র ও বালুর স্তুপ জব্দ এতিম শিশুদের নিয়ে ইফতার করলেন মনোহরদীর ইউএনও হাছিবা খান ঢাকা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে বিজয়ী মনোহরদীর সন্তান এ্যাড.কাজী হুমায়ুন কবীর মনোহরদীতে ব্রক্ষ্মপুত্র নদীতে অভিযান ১০টি ম্যাজিক জাল জব্দ মনোহরদী থানার ওসি আবুল কাশেম ভূঁইয়া পেলেন পিপিএম-সেবা পদক মনোহরদীতে ওকাপের ভবিষ্যৎ কর্মকৌশল শীর্ষক মতবিনিময় সভা মনোহরদীতে শীতার্তদের মাঝে মন্ত্রীপুত্রের শীতবস্ত্র বিতরণ

নওগাঁয় অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে ভ্রাম্যমাণ অ্যাম্বুলেন্স।

একে এম কামাল উদ্দিন টগর, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি
  • আপডেটের সময় : শুক্রবার, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২০
  • 581 দেখুন

নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁয় নষ্ট হয়ে পড়ে থাকা এলজিএসপি-২ এর ব্যাটারি চালিত ভ্রাম্যমাণ অ্যাম্বুলেন্স স্বাস্থ্যসেবা দৌরগোড়ায় পৌঁছে দিতে নওগাঁর বিভিন্ন ইউনিয়ন পর্যায়ে চালু করা হয়েছিল ব্যাটারি চালিত ইউজিবাইক “ভ্রাম্যমাণ অ্যাম্বুলেন্স”।

যার সুবিধা ভোগ করতো প্রত্যন্ত অঞ্চলের হতদরিদ্র মানুষ। গ্রামের কাঁচা-পাকা মেঠো পথে সাইরেন বাজিয়ে ছুটে চলা সেই অ্যাম্বুলেন্সগুলো এখন অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে দ্বিতীয় লোকাল গর্ভন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্ট(এলজিএসপি-২) থেকে ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে জেলার ১১টি উপজেলার ৯৯টি ইউনিয়নে ভ্রাম্যমাণ অ্যাম্বুলেন্স চালু করা হয়েছিল। দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা ব্যায়ে তৈরি করা অ্যাম্বুলেন্সের ছাদে ঘুর্ণায়মান লাল আলোর বিচ্ছুরণের জন্য লাগানো হয়েছিল সাইরেন হর্ণ।

আরো পড়ুনঃ নওগাঁ-৬ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী এমপি’র সহধর্মিনী বিউটির পক্ষে বিশাল মোটরযান শোভাযাত্রা

আর ভেতরে ছিল দুই ছিটের গদি আটা আসনের সাহায্যকারী ও প্রসুতি শুয়ে-বসে থাকার সু-ব্যবস্থা।২৪ ঘন্টা স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত অ্যাম্বুলেন্সের গায়ে জরুরি প্রয়োজনে ফোন নাম্বার দেয়া হয়। যে কোন সময় কল করে ঠিকানা জানিয়ে দিলেই বাড়ির দোর গোড়ায় গিয়ে হাজির হতো অ্যাম্বুলেন্সটি।অ্যাম্বুলেন্স এর মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও কমিউনিটি ক্লিনিকে সহজেই রোগী আনা- নেওয়া করা যেতো।

কিন্ত সেই অ্যাম্বুলেন্সগুলো এখন মূখ থুবরে পড়ে আছে। ব্যাটারি না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে খোলা আকাশের নিচে রোদবৃষ্টিতে পড়ে থেকে মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সচেতনমহরের দাবি অ্যাম্বলেন্সগুলো পূনরায় চালু করা হোক।পাঁচুপুর ইউনিয়নের অ্যাম্বুলেন্স চালক বিশু দেওয়ান বলেন, তিনি এক বছরে ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে প্রায় ১৫০-২০০ রোগীকে আত্রাই হাসপাতালে নিয়ে যান।

ভাড়া নিয়ে কোন দরদাম করতেন না। যে টাকা পাওয়া যেতো তা দিয়ে চলা সম্ভব ছিল না। এ ছাড়া নিজেও কিছু টাকা খরচ করে মেরামত করেছিলেন। প্রায়২ বছর থেকে ব্যাটারির অভাবে নষ্ট হয়ে আছে। এলাকাবাসীরা সুবিধাবঞ্চিত হচ্ছেন।সদর ইউনিয়ন ৪নং পাঁচুপুর ইউপি চেয়ারম্যান আফছার আলী প্রামানিক ও হাটকালু পাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস শুকুর সরদারই বলেন,ইঞ্জিন ৪৫ হাজার টাকা দিয়ে একবার ব্যাটারি পরিবর্তন করা হয়েছিল।

বছরখানেক পর নষ্ট হয়ে গেছে। এখন মরিচা ধরেছে।ইউনিয় পরিষদে এ বিষয়ে কোন অর্থ বরাদ্ধ না থাকায় ব্যাটারি পরিবর্তন করা সম্ভব হচ্ছে না।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ছানাউল ইসলাম বলেন, সামনে মাসিক মিটিং আছে।যেখানে ইউপি চেয়ারম্যানরা আসবেন। সেখানে অ্যাম্বুলেন্স সম্পর্কে আলোচনা করা হবে এবং এ বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর

https://bd24news.com © All rights reserved © 2022

Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102