অবশেষে সৌদি আরবে বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি পেয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এর আগে সৌদি আরবের অনুমতি না পাওয়ায় দিনের শুরুটা হয়েছিলো ফ্লাইট বাতিলের মধ্য দিয়ে। তবে সন্ধ্যায় ২৬৫ জন যাত্রী নিয়ে সৌদি আরবের জেদ্দাহতে গেল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশেষ ফ্লাইট।
সৌদি আরবে বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা অনুমতি পাওয়া গেছে বলে জানান বিমানের উপ মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ ) তাহেরা খন্দকার। তিনি জানান, বিমানের (বিজি ৪০৩৫) ফ্লাইট সন্ধ্যা ৬টায় ২৬৫ জন যাত্রী নিয়ে জেদ্দাহর উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে।
শনিবার বিমানের ৫টি ফ্লাইট ছিলো, এরমধ্যে ৪টি বাতিল হয়েছে। বাতিল হওয়ার ফ্লাইটের মধ্যে রয়েছে সৌদি আরবের দাম্মামে ১টি, রিয়াদে ১টি, দুবাইয়ে ২টি ফ্লাইট। বিমান বাংলাদেশে এয়ারলাইন্সের রিয়াদগামী ফ্লাইট (বিজি৫০৩৯) সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। এ কারণে এয়ারলাইন্সের নির্দেশনা অনুসারে ৬ ঘন্টা আগে রাত ১ টার মধ্যেই হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসেছিলেন যাত্রীরাও।
কিন্তু ফ্লাইটটি বাতিল হয়েছে। এ কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রবাসী কর্মীরা বিক্ষোভ করেছেন হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
আজ ১২টি এয়ারলাইন্সের ১৪টি ফ্লাইটের মধ্যে কমপক্ষে ৭টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। সৌদি আরবের অনুমতি না পাওয়া, যাত্রী না পাওয়ায় এসব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এয়ারলাইন্সগুলো।
লকডাউনের মধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিমানবন্দরে এসে জানছেন ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। যাদের ভিসার মেয়াদ শেষের পথে তারা আছেন বেকার হওয়ার ঝুঁকিতে। সার্বিক ভাবে চরম ভোগান্তিতে প্রবাসীরা।
প্রবাসীকর্মীদের কর্মস্থলে ফেরা নিশ্চিত করতে শনিবার সকাল ৬টা থেকে (১৭ এপ্রিল) থেকে পাঁচটি দেশে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেয় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। এই পাঁচটি দেশ হচ্ছে— সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার ও সিঙ্গাপুর।
শুধু মাত্র প্রবাসী কর্মীরা এসব ফ্লাইটে যেতে পারবেন। আর দেশে আসলে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে প্রবাসী কর্মীদের। এ ৫ দেশে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য ১২টি এয়ারলাইন্সকে অনুমতি দিয়েছ বেবিচক। এই ১২টি এয়ারলাইন্স হচ্ছে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স, সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স, ওমান এয়ার, সালাম এয়ার, কাতার এয়ারওয়েজ, এমিরেটস, ইতিহাদ, এয়ার অ্যারবিয়া, এয়ার অ্যারাবিয়া আবুধাবি, ফ্লাই দুবাই এবং সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স।