
তখন ছিল কি বেলা মধ্যদিনে নারীকে ভাবার,
গণিতের খেলা তবু কড়া নাড়ে রুদ্ধ করোটিতে
ছিন্নতার সূত্র বোনে অন্তঃকক্ষ প্রেম-সিক্ত ভিতে
স্বর্গগামী স্বপ্নগুলো পথ আঁকে দুদিকে যাবার।
আমরা পড়ি না কিছু, অবিমৃষ্য শিশু কবিদল,
স্থূলাঙ্গ অক্ষরে লেখা পৃথিবীর সেসব নিয়ম-
কে তুমি অদূরে একা, অভিমানী, যেন মতিভ্রম
নিজেই নিয়েছ সেধে যাতনার দ্যুতিত শিকল।
কবিতা যাপন করে পেরিয়েছ সভ্যতার সীমা
বুকে সাধ ছিল তবু স্নান করা চাকাময় জলে,
পরেছ নিজস্ব জামা নির্জনতা শব্দের বল্কলে
ক্ষয়িত আত্মার রঙে শিল্পিত সে কবিতা-প্রতিমা।
মৃত্যুর পরেও যদি বেজে চলে ঈশ্বরীর মল,
বিনয় পরাস্ত নয়, কাব্যাহত, উদ্ধত, অটল।।