লিখিত বক্তব্যে কাজী বেলাল হোসেইন জানান, গত ৯ সেপ্টেম্বর অনলাইন নিউজ পোর্টাল “পূর্বপশ্চিম” এবং“দেশ দর্পন” অনলাইনে “জন্মের এক বছর আগে দাখিল আর জন্মের এক বছর পরেই আলিম পাশ” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
এই সংবাদটি মিথ্যে,ভিত্তিহীন দাবি করে তিনি বলেন, আমাকে সমাজে হেও প্রতিপূন্ন করার লক্ষে উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে এই “মিথ্যে” সংবাদটি পরিবেশন করা হয়েছে।
প্রকাশিত সংবাদ তুলে ধরে বলেন,আমাকে ওই সংবাদে আমার জন্ম তারিখ ১-১-১৯৮৪ ইং, ১৯৮৩ দাখিল পাশ এবং ১৯৮৫ সালে আলিম পাশ দেখিয়েছে । এছাড়া শিক্ষক বেলাল হোসেন,পিতার নাম মৃত ময়েন উদ্দিন, সাং মালঞ্চি, রাণীনগর,নওগাঁ এর সার্টিফিকেট ঘোসামাজা বা মিশ্রিতকরণ উল্লেখ করা হয়েছে । আসলে এরকম কোন ঘটনার সাথে আমার কোন সম্প্রক্ততা নেই। আমার কোন ভুয়া কাগজ পত্রও নেই।
আরো পড়ুনঃ নওগাঁয় অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে ভ্রাম্যমাণ অ্যাম্বুলেন্স।
তিনি প্রকৃত তথ্য তুলে ধরে বলেন,আমার জন্ম তারিখ ১-১-১৯৮৪ ইং দাখিল পাশ রাণীনগর আল আমিন দাখিল মাদ্রাসা থেকে ২০০০ ইং সালে, আলিম পাস ২০০৬ ইং নওগাঁ নামাজগড় গাউসুল আজম কামিল মাদ্রাসা থেকে ও ফাজিল পাশ ওই মাদ্রাসা থেকে ২০০৯ সালে এবং কামিল পাশ একই মাদ্রাসার অধিনস্ত কুষ্টিয়া ইসলামিক ইউনিভারসিটি কুষ্টিয়া থেকে।
এই কাজপত্র দিয়েই আমি নওগাঁ জেলার রাণীনগর উপজেলার ২নং কাশিমপুর ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রারে নিয়োগ পাই। তিনি বলেন,বেলাল নামে যে শিক্ষকের কথা তারা তুলে ধরেছে সেই বেলাল হোসেন আমার কোন শিক্ষক ছিলেন না এবং আমি তাকে দেখিনি ও চিনিও না। আমার নাম বেলাল হোসাইন, পিতা নাজিম উদ্দিন, সাং গহেলাপুর, বর্তমান সাং এনায়েতপুর, রাণীনগর, নওগাঁ।
অপর দিকে প্রকাশিত সংবাদে রাণীনগর আল আমিন দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার হারুনুর রশিদের যে বক্তব্য সংবাদে দেওয়া হয়েছে সে এরকম বক্তব্য দেননি বলে জানান বেলাল হোসেন। কাজী বেলালের বিষয়ে কোন তথ্য জানতে চাইলে আমার মাদ্রাসায় আসলে রেকড গুলো পর্যাআলোচনা করে প্রকৃত তথ্য দেওয়া যাবে এমন কথা হলেও ওই দপ্তরে না গিয়ে বক্তব্য বিকৃত করে সংবাদ প্রকাশ করেছে এবং ওই প্রকাশিত সংবাদে তার বিকৃত বক্তব্যের জন্য ভারপ্রাপ্ত সুপার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান বেলাল হোসেন।
লিখিত বক্তব্যে নিকাহ রেজিস্ট্রার বেলাল আরো জানিয়েছেন,ওই দুইজন সাংবাদিক আব্দুর রউফ রিপন ও শহিদুল ইসলাম আমার কাছ থেকে তারা দুইজন মিলে বিভিন্ন সময়ে ১ লাখ টাকা তাদের দিতে হবে বলে চাঁদা দাবি করেন। আমি সেই চাঁদার টাকা দিতে না চাইলে তারা দুইজন মিলে উদ্দেশ্য মূলক ভাবে আমার বিরুদ্ধে যা ই”ছা তাই লিখে সংবাদ প্রকাশ করেছেন।
এতে সমাজে আমাকে হেও প্রতিপূর্ন ও মান ক্ষুন্ন করেছেন। তিনি এই সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন । এছাড়াএ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।
এব্যাপারে সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম ও আব্দুর রউফ রিপন বলেন,কাজী বেলালের বিরুদ্ধে সু-নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ধারাবাহিক অনিয়ম,দূর্নীতির সংবাদ করার কারনে সে নিজে এবং কয়েকজন নেতাকর্মীদের মাধ্যমে আমাদেরকে বিভিন্নভাবে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা তার অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তার অপকর্ম আড়াল করতে “মিথ্যে” অভিযোগ তুলে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন।