ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ৬১ বছরে পদার্পণ করেছে আজ বুধবার । ১৯৬১ সালের ১৮ আগস্ট প্রতিষ্ঠিত হয়ে গৌরবময় পথ-পরিক্রমণ করছে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
তথা ও বিজ্ঞানভিত্তিক চাষাবাদের মাধ্যমে টেকসই কৃষি উন্নয়ন ও কৃষি-বিজ্ঞানভিত্তিক অর্থনৈতিক বুনিয়াদ গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়টি। প্রায় এক হাজার ২শ একর জায়গার ওপর গড়ে তোলা হয় এটি।
কৃষিতে অভাবনীয় উন্নয়ন সাধন করায় বিশ্বদরবারে বাংলাদেশ আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ আজ খাদ্য নিরাপত্তায় ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। সেই সঙ্গে ক্রমাগত মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, ফল ও শাকসবজির উৎপাদনও বৃদ্ধি পাচ্ছে দ্রুতগতিতে। দারিদ্র্যবিমোচন ও খাদ্যনিরাপত্তা বিধানে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি যথেষ্ট সহায়ক হয়েছে। এসব সফলতার পেছনে গর্বিত অংশীদার হিসেবে কাজ করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ চত্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক ঐতিহাসিক ঘোষণা দেন। এর ফলে কৃষিবিদগণ চাকরির ক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণির গেজেটেড পদমর্যাদায় অধিষ্ঠিত হয়।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনটি ইনস্টিউট, ছয়টি অনুষদ ও ৪৪টি বিভাগ রয়েছে। ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেম (বাউরেস) থেকে এ পর্যন্ত দুই হাজার ৮২০টি গবেষণা প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে পাঁচ শতাধিক গবেষণা প্রকল্পের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এ ছাড়া ১৯৯১ সালে ৩২ একর জায়গা নিয়ে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফল সংগ্রহশালা ‘জার্মপ্লাজম’ সেন্টারটি এখন পর্যন্ত কয়েকশ দেশি-বিদেশি ফলের বাণিজ্যিক জাত উদ্ভাবন করে দেশের পুষ্টি ও অর্থনৈতিক চাহিদা পূরণে সহায়ক হিসেবে কাজ করে আসছে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান জানান, গত ৬০ বছরে এ বিশ্ববিদ্যালয় হতে উত্তীর্ণ কৃষি বিজ্ঞানীদের অনেকেই জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক ক্ষেত্রে পুরস্কৃত হয়েছেন এবং একই সঙ্গে পেশাগত পূর্ণতায় বিকশিত হয়ে দেশের কৃষি-সংস্কৃতির পরিমণ্ডলকে সমৃদ্ধ ও আলোকিত করেছেন।